
অনলাইন ডেস্ক, টোয়েন্টিফোর বিডিটাইমস ডটকম:- আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, চলচিত্রকার, সাংবাদিকসহ দেশের বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখন্ডের জন্ম তখন সময়ের ব্যাপার। পরাজয়ের চরম প্রতিহিংসায় উন্মত্ত পাকিস্তানি সেনারা এদেশেরই কিছু দালালের সহায়তায় বেছে বেছে হত্যা করে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন অনেককে। মেধা শূন্য করতে বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙে দিতেই এই গভীর এবং ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।
মেধায় মননে, সৃজনশীলতায় এদেশের মানুষ যেন স্বাধীনতা পরবর্তী বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সে লক্ষ্যে এইদিন বাংলাদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মোহাম্মাদপুরের বেড়ী বাধ সংলগ্ন রায়েরবাজারের বধ্যভূমিতে অনেকের লাশ পাওয়া যায়। অথচ এই হত্যাকান্ডের একদিন পরই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মাথনত করতে বাধ্য হয় কাপুরুষ পাকিস্তানি ও দেশীয় দালালরা।
এই দিন প্রাণ দিতে হয় বাংলার কৃতি সন্তান অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, সাহিত্যিক সেলিনা পারভীন, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশেদুল হাসান, ড. আনোয়ার পাশা, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, নিজামুদ্দীন আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদসহ অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে। এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়। তাই শোকার্ত বাঙালী জাতি স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সেই সব কৃতি সন্তানদের।
প্রতিবছর জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটিকে পালন করে থাকে। রাতের প্রথম প্রহরেই রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন সংগঠন এবং দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
বুলবুল